আপনার জীবনের কোনো চূড়ান্ত স্বপ্ন আছে? যদি থাকে তাহলে নিশ্চয় তা আরো শক্তিশালী করতে চাইবেন। আর যদি আপনার চূড়ান্ত স্বপ্ন নিয়ে এখনও নিশ্চিত না হয়ে থাকেন, তাহলে তো নিজের স্বপ্নের দিকে নতুনভাবে দৃষ্টি দিতে চাইবেন নিশ্চয়?
যদি আপনি স্বপ্নবাজ হয়ে থাকেন অথবা স্বপ্নবাজ হতে চান, তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্য।
আমরা এই কন্টেন্টে এমন ৬টি কোয়েশ্চেন তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা আপনার স্বপ্নকে পাকাপোক্ত করে তুলবে। স্বপ্ন অর্জনে আপনার জীবন কর্মের স্পীড বাড়াতে ঝটপট প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে ফেলুন। লিখে অথবা চিন্তায়, যেভাবেই হোক। চ্যালেঞ্জ নিয়েই দেখুন না, দেখবেন আগামী ১০ মিনিট আপনার জীবনটাকে নতুন মোড় এনে দিচ্ছে।
১. আপনার বর্তমান জীবনে আপনার সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি কি?
আপনার বিগত বছর গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অভিঙ্গতা একটু স্মরণ করে দেখুন তো। আপনার নিজেকে কতটা জানেন আপনি? কী? মনে পড়ছে কিছু?
যতক্ষণ পযন্ত এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না ততক্ষণ পযন্ত আপনার জীবনলক্ষ্য উদ্দেশ্যহীন ধরাই যায়।
আপনার ভেতরের সত্যিকারের মানুষটাকে (দেহ বা ডেভিল মাইন্ডের চাওয়া না অবশ্যই) ভালোভাবে ব্যখ্যা না করলে আপনার জীবনের ইনটেনশান বাস্তব পরিস্তিতির কাছে সন্দেহাতীত ভাবে বাধা প্রাপ্ত হবে।
আপনি কি জানেন আপনার ব্যখ্যা আনন্দ সম্পর্কে। সকল চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে একটু ভেবে বলেন তো কি ধরনের কমকান্ডে আপনি ছোটবেলায় খুশি থাকতেন বা আনন্দ পেতেন ? আর এখন কি ধরনের কর্মকান্ডে আনন্দ পান?
এই গুলা চিন্তা করে যখন আপনার আত্মা আর আপনার স্বপ্ন বা লক্ষ্য গুলো মিলে যাবে, তখনই কেবল আপনি নিজেই নিজেকে ড্রাইভ করতে পারবেন, সকল পিছুটান ঠেলে, সকল জড়তা মাড়িয়ে, সকল বাধা পেরিয়ে।
২. স্বপ্নটাকি আপনার ভেতর থেকে আসা নাকি অন্য কারো দ্বারা প্রভাবিত?
আপনার স্বপ্নটা কি আপনার চুজ করা? নাকি অন্য কারো ইচ্ছা আপনার ওপর চাপিয়ে নিয়েছেন? বা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আপনি সেটাকে আপনার নিজের স্বপ্ন মনে করেছেন?
আপনি কি আপনার বৃদ্ধ বয়সে গিয়ে আপনার একান্ত নিজের যে স্বপ্ন ছিল সেটা পূরন করতে পারেননি সেটা মনে করে কি আনুশোচনা করতে চাচ্ছেন?
আচ্ছা, আপনি কি নিজের স্বপ্ন পূরন করাকে স্বর্থপরতা বলে মনে করেন?
আপনি ভালো না থাকলে অন্যকে ভালো রাখবেন কিভাবে বলেন তো? আর মানুষ যদি নিজের স্বপ্ন পূরন করতে না পারে, তাহলে তুষ্ট থাকে কিভাবে?
৩.আপনি অন্যের স্বপ্ন নিয়ে লাইফ সেটেল করছেন না তো?
আপনার জীবনের প্রাপ্য ভালোবাসা-সাফল্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত যদি করেন তাহলে নির্ঘাত নিজের প্রতি অবিচার করছেন? আশেপাশের দিকে তাকিয়ে আপনার জীবনের চূড়ান্ত স্বপ্নের সাথে কি আপোষ করেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিবেন? তাহলে মনে রাখা উচিত, আপনার সেকরিফাইজ করা স্বপ্নটা কখনোই আপনাকে ভালো থাকতে দিবে না।
৪. যখন আপনার স্বপ্ন পূরন হবে তখন আপনার অনভূতি কেমন হবে ভেবে দেখেছেন?
স্বপ্ন পূরন না হওয়ার কষ্ট একটা সময় তুষের আগুনের মত আপনাকে পুড়াতে থাকবে। আপনাকে আনন্দে থাকতে দিবে না। তাই নিজের স্বপ্ন পূরনের উচ্ছ্বাসে ডুবে থাকুন।
যেখানে আপনার সৃজনশীল মনোযোগ প্রবাহিত হয়, সেখানে আপনার জীবনও প্রবাহিত হয়।
হাওয়াইয়ান কাহুনা
৫.আপনার স্বপ্ন পূরনের জন্য আজ থেকেই পদক্ষেপ নিতে পারবেন তো?
আপনার স্বপ্নকে হেরে যেতে দিবেন না। তা পূরনের জন্য চারেপাশের সুযোগ গুলোকে কাজে লাগান। আপনার স্বপ্ন বা উদ্দেশ্যের সাথে মিল আছে সেরকম সকল সুযোগ গুলোকে খুঁজে বের করুন।
মনে রাখবেন ছোট ছোট প্রোজেক্ট আপনার বড় স্বপ্নকে লিড করবে। যদি আপনি ম্যারাথন খেলতে চান তাহলে আপনাকে সব ধরণের দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে, অবশ্য জেতার জন্য না বরং আপনার দীর্ঘ রান আপ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য।
এবং আপনার প্রোগ্রেস দেখার জন্যে একটা রাস্তা খুঁজে বের করুন। রাস্তাটা হতে পারে কোথাও লিখে চার্ট করার মাধ্যমে অথবা কোনো বন্ধুর সাথে শেয়ার করার।
৬.আপনি কি মনে করেন যে, আপনার কোনো স্বপ্ন থাকতে পারেনা?
বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাসই করে না যে তারা তাদের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে পারে। অথবা তাদের সমাজ বা সিস্টেম তাদের এটা বিশ্বাস করায় যে তারা যে স্বপ্নটা দেখেছে বা ভালোবেসেছে সেটার যোগ্য তারা না।
তাই তাদের দুঃখ,কষ্ট গুলোকে চাপা দিতে স্বপ্নটাকে এভোয়েড করে এবং নিজেদেরকে বলে যে তাদের কোনো স্বপ্ন ছিল না। নিজেকে এই প্রবঞ্চনা দেওয়া দয়া করে বন্ধ করুন।
প্রত্যেক মানুষের স্বপ্ন আছে। এবং সবাই তার নিজের স্বপ্ন পূরনে বদ্ধ পরিকর। খালি ছোট ছোট স্টেপগুলোতে হেরে যাওয়াকে স্বপ্নভঙ্গ মনে করে অনেকে দমে যায় এই তো। দয়া করে আপনিও সেই পথের পথিক হবেন না আর। নিজের আলটিমেট স্বপ্নকে খুঁজে বের করুন এখনই।
মানুষ নাকি তার স্বপ্নের সমান বড়, তাহলে আপনি অপেক্ষা করছেন কিসের?